‘জিরো গ্র্যাভিটি পেন’ নামে পরিচিত এ কলমে ব্যবহার করা হয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাস যুক্ত প্রেশারাইজড ইঙ্ক কার্ট্রিজ। জলের নীচে, মহাশূন্যে, ভেজা ও তৈলাক্ত কাগজের উপর, যে কোনো কোণে, উপরে নীচে যেমন ভাবে খুশি এই কলমের সাহায্যে লেখা সম্ভব।মহাকাশে সাধারণ কলম দিয়ে লেখা যায় না। কারণ সেখানে জিরো অথবা মাইক্রো গ্রাভিটিতে সাধারণ কলম কাজ করে না। বর্তমানে মহাকাশে ‘ফিশার স্পেস পেন’ ব্যবহার করা হয়। বিশেষকরে আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই দেশই এই কলম ব্যবহার করছে।এ কলমটি আবিষ্কার করেন আমেরিকার পল সি ফিশার। এরপর ফিশার এই কলম নাসাকে অফার করে ৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নাসা ৪০০টি এই পেন প্রতি ইউনিট এ ৬ ডলার এর বিনিময়ে কেনে অ্যাপোলো প্রোজেক্ট এর জন্য ৷ ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ১০০টি এই পেন কিনেছিল সয়ূজ মিশনের জন্য ৷

এখন প্রশ্ন তাহলে পেন্সিল কেন ব্যবহার করা হয় না?

আমরা সবাই 3 idiots মুভির কথা জানি! মুভির প্রথমেই প্রিন্সিপাল যখন তার হাতের স্পেস পেন দেখিয়ে বলেন এটা স্পেসে ব্যবহারের জন্য এস্ট্রনোট পেন। কয়েক লাখ ডলারের পেন। তখন আমির খান প্রশ্ন করেন, নাসা কেন পেন্সিল ব্যবহার করেনি? তাহলে লাখো ডলার বেঁচে যেত।এরও উত্তর আছে যদিও ‘ফিশার স্পেস পেন’ আবিষ্কারের পূর্বে পেন্সিলই ব্যবহার করত নাসা অ্যাস্ট্রোনট এবং সোভিয়েত কসমোনটসরা।

মহাকাশে কেন পেন্সিল ব্যবহার করা যায় না

পেন্সিলের গ্রাফাইটের গুড়ো বা ছোটো টুকরো ভেঙে গেলেও সেটা জিরো গ্রাভিটির জন্য ভাসমান অবস্থায় থাকবে এবং নভোচারীদের নাক, কান বা চোখে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাছাড়া ছোটো টুকরো কোথাও আটকে গিয়ে পুরো মহাকাশযান বা স্পেস ক্রাফ্টকে ড্যামেজ করে দিতে পারে৷ পেন্সিলের নিব গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি, যেটা তাপ ও বিদ্যুতের অত্যন্ত ভালো মানের পরিবাহক। অভিকর্ষ হীন মহাকাশে নিব এর গুঁড়ো বেশ বড় ধরনের বিপত্তির জন্মদিতে পারে। যেমন, বাতাসের ভেন্টিলেশন সিস্টেমে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। তখন শর্ট সার্কিট হতে পারে, ক্যাপসুলের বিশুদ্ধ অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে আগুন ধরে যেতে পারে। তাই এসব কারণে মহাকাশে পেন্সিল ব্যবহার করা নিরাপ নয়।