বুঝতে পারা আর বোঝাতে পারার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। কোন টপিক ভালো বুঝতে পারলেই যে সহজে অন্যকে বোঝানো যায় এমনটা সবসময় হয় না। প্রত্যেকের শেখার ধরন বা বুঝতে পারার ধরন ভিন্ন। কেউ অডিটরি লার্নিং এ সহজে বুঝতে পারে কেউ ভিজুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে। এখন আপনার বুঝতে পারার ধরনের সাথে যদি অপর প্রান্তের ব্যাক্তির ধরনের পার্থক্য থাকে তাহলে আপনি অনেক সহজ করে বোঝালেও সেটা ধারণ করতে সময় লাগবে। অডিটরি আর ভিজুয়াল লার্নিং ছাড়া আরো অনেক লার্নিং প্রসেস রয়েছে, যেগুলো ব্যাক্তি সাপেক্ষ। শেখার বিষয়টা চিন্তা, কল্পনার উপর নির্ভরশীল।

যেকোনো টপিক কে যদি ভেঙে ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করে টপিকের মূল বিষয়বস্তুকে বোঝার চেষ্টা করুন। ছোট খন্ড গুলোর কোন কিছুই বাদ দিবেন না। ক্যালকুলাস শেখার আগে ফাংশন, ত্রিকোণমিতি সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে ক্যালকুলাস বোঝা কষ্টকর হয়ে ওঠে। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। প্রত্যেকটা টপিকই এরকম একটার সাথে একটা জড়িত। তাই মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখুন পরবর্তী টপিক গুলো বুঝতে সহজ হবে। আর নিজের শেখার ধরন অনুযায়ী শেখার চেষ্টা করবেন, বই পড়ে যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় কিন্তু অন্য কেউ বোঝালে সেটা সহজ লাগে তাহলে টিচার বা বন্ধুদের কাছ থেকে ওই সংক্রান্ত সমস্যাগুলো ক্লিয়ার করে নিতে পারেন। বাকি রইলো শেখানো,,, টপিকের বিগার পিকচার যদি ধারণ করতে পারেন মানে মূল কনসেপ্টটা যদি বুঝতে পারেন ওই টপিক সংক্রান্ত প্রবলেম সলভ করলে টপিকটা নিজের আয়ত্তে আসবে। বাকিটা ওপর প্রান্তে থাকা ব্যাক্তির চিন্তা আর কল্পনার উপর নির্ভরশীল।

সবশেষে, টপিকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ গুলো আয়ত্তে আনার চেষ্টা করুন বাকি সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে।